চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আট কর্মকর্তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আসামিদের তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ বলেন, ‘দুইটি তদন্ত কমিটি ও ২২ জনের সাক্ষ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটজন আসামিকে পৃথক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর একটি ধারায় প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের নামে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ জন। আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতজন।